শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
৪৩ বছর বয়সে আবারও দলের নেতৃত্বে ফিরবেন ধোনি এবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স আউট বিতর্ক নিয়ে ইমরুল কায়েসের বিস্ফোরক মন্তব্য মুহুতে ভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডে যে ১৪ নির্দেশনা দিল প্রকাশ্যে এলো নথি গাজায় হামলার জন্য ইসরাইলে রকেট ও বিস্ফোরক রপ্তানি করেছে ভারত ডুবন্ত টাইটানিক নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ, জানলে আপনিও অবাক হবেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, আবহাওয়া অফিসের বিশেষ সতর্কবার্তা বড় জয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ এর প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ তাসকিনকে বাদ দিয়ে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশে যে সব অঞ্চলে ‘৭.৭ মাত্রার’ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে

আহমেদ তুহিন / ২৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সম্প্রতি দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, যেগুলোর রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। এর ফলে উক্ত দুটি দেশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলায় সকল পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর নিচের নির্দেশনা প্রদান করেছে:

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা;
(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়া;
(৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;
(৪) গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;
(৫) ভূমিকম্পের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মহড়া ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা;
(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর (ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ইত্যাদি) ব্যক্তিগত ও সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লেখা;
(৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকা পালন করা;
(৮) জরুরি ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (টর্চলাইট, রেডিও, বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধ, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি) বাড়িতে সংরক্ষণ করা;
(৯) তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এই বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সতর্কতায় ভূমিকম্প বা অন্য কোনো দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সীমিত রাখি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *