মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগ ‘মান্থলং স্টেট-স্পন্সরড প্রোগ্রাম টু ডিসিমেট আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্ট তৈরি করেছে, যা জাতিসংঘ, দূতাবাস, হাইকমিশন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই নথিতে গত মাসে আওয়ামী লীগের নেতা, সদস্য এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা ও দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সিনিয়র সদস্য নিশ্চিত করেছেন যে, এই ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দলের নেতা, কর্মী এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করতে মিডিয়া কভারেজ ব্যবহার করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাকে ই-মেইল পাঠিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সমর্থকদের সমর্থন চাওয়া হয়েছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনাগুলি আপনার নজরে আনতে আমরা লিখছি।’
আওয়ামী লীগের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে যাওয়ার পর থেকে দলের সদস্যদের ওপর হামলা বেড়ে গেছে। প্রতিবেদনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে, যেখানে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারকে নিষ্ক্রিয়তার জন্য নিন্দা জানাতে জাতিসংঘ, বিদেশি দূতাবাস এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গণহত্যা বন্ধ করতে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
দলটি বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভাজন মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে এবং জাতিসংঘকে বিভাজনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বৃদ্ধি রোধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় মিডিয়া আউটলেটগুলো পরিস্থিতির সমালোচনামূলক প্রতিবেদন দমনের তীব্র চাপের মুখে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সংসদীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির আলোচনা শুরু করার এবং আইনশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানায়। দলটি সতর্ক করে বলেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও সহনশীলতার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে রয়েছে।