বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
৪৩ বছর বয়সে আবারও দলের নেতৃত্বে ফিরবেন ধোনি এবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স আউট বিতর্ক নিয়ে ইমরুল কায়েসের বিস্ফোরক মন্তব্য মুহুতে ভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডে যে ১৪ নির্দেশনা দিল প্রকাশ্যে এলো নথি গাজায় হামলার জন্য ইসরাইলে রকেট ও বিস্ফোরক রপ্তানি করেছে ভারত ডুবন্ত টাইটানিক নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ, জানলে আপনিও অবাক হবেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, আবহাওয়া অফিসের বিশেষ সতর্কবার্তা বড় জয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ এর প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ তাসকিনকে বাদ দিয়ে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ

এবার জানাগেল যে কারনে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হায়ে ছিল জয়ের

আহমেদ তুহিন / ৯৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে উঠে এসেছে।

এই রিপোর্ট ঘিরে নানা আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেকে সাফাই দিতে গিয়ে রিপোর্টটিকে ‘ভুল এবং বিভ্রান্তিকর’ দাবি করেছেন। তিনি একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিন প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছেন এবং তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, রিপোর্টটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেন, রিপোর্টের কারণে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে কিছু ভুল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।

এফবিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মালিকানাধীন বিলাসবহুল আটটি গাড়ি এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়া থেকে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। জয় তার ফেসবুক পোস্টে জানান, “ক্রিস্টিন এবং আমি আর একসঙ্গে নেই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়ে বিবাহবিচ্ছেদ করেছি।”

২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এফবিআই এসব তথ্য তুলে ধরেছে এবং প্রতিবেদনটির একটি অনুলিপি গত ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ জমা দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, রিপোর্টে যে এফবিআই এজেন্টের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বহু বছর আগে এফবিআই থেকে অবসর নিয়েছেন, এবং যাকে “জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আইনজীবী” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। এছাড়া, তার নামে যে গাড়ির তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তিনি ২০ বছর আগে কিনেছিলেন এবং একটি বাদে বাকি সব গাড়ি ইতোমধ্যে বিক্রি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনো কোনো সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলাম না বা সে থেকে অর্থ উপার্জন করিনি। অবশ্যই আমাদের দুটি দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তবে কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, তা আমরা কখনো দেখিনি।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *