সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
ক্রিকেটের জগতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অনেক খেলোয়াড়ের গল্প রয়েছে, যাদের উত্থান ও পতন চিরস্মরণীয়। মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে, দর্শকের উচ্ছ্বাস থেকে হতাশা—সবকিছুই তার ক্রিকেট জীবনে নানা রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। মাঠে তার নৈপুণ্যে কখনো তিনি নায়ক, আবার কখনো খলনায়ক হিসেবেও পরিচিত হয়েছেন।
বিশেষ করে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেঙ্গালুরুর ট্র্যাজেডিটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। সেদিন ভারতকে হারানোর জন্য বাংলাদেশ ছিল একদম কাছাকাছি। ম্যাচটি যখন নিশ্চিত জয় হিসেবে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন মাহমুদউল্লাহর একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা পারফরম্যান্স দর্শকদের ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি মনে করেন, ওই ইনিংসটি তার ক্রিকেট জীবনকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। ক্রিকেটের এই পিঠ-পিঠি মুহূর্তগুলি তার ক্যারিয়ারে চ্যালেঞ্জ এনেছে, কিন্তু তাতে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন এবং একজন দৃঢ় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
এ ধরনের অভিজ্ঞতা তাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেছে, এবং যা অর্জন করেছেন তা সবসময় ভক্তদের মনে থাকবে—নিখুঁত খেলার মধ্য দিয়ে অথবা ভুলের মুহূর্তগুলোর কারণে।
সেই ম্যাচে শেষ ওভারে বাংলাদেশকে ১১ রান করতে হতো। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পর পরের দুই বলে ২টি চার মেরে জয় উদযাপনের প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ। শেষ ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। এরপরই ঘটে ট্র্যাজেডি। চতুর্থ বলে ডিপ মিড উইকেটে মুশফিক ক্যাচ তুলে দেন। পরের বলে মাহমুদউল্লাহ জাদেজার হাতে ক্যাচ দেন। শেষ বলে মুস্তাফিজ রানআউট হন। জয়ের পথে থাকা ম্যাচটি ১ রানে হারায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ এখনও পোড়ায় বাংলাদেশকে, এবং মাহমুদউল্লাহকেও। তিনি এটিকে ক্যারিয়ারের লাইফ চেঞ্জিং মোমেন্ট বলছেন।
অবসরের পর ক্যারিয়ারের ওই মুহূর্ত নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, “সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি হারানো। ২০১৬ সালের ওই ম্যাচই আমার জীবনের অন্যতম হতাশাজনক ও লাইফ চেঞ্জিং মোমেন্ট। সেখান থেকে আমি বড় শিক্ষা নিয়েছিলাম।”
মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে জিতিয়ে তিনি নায়ক হন। এটিকে তিনি ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ সময় নিদাহাস ট্রফির জয়ই আমার বেস্ট মোমেন্ট। আমরা উন্নতি করিনি, এমন বলব না। এই ফরম্যাটে আমাদের নিকট অতীতে দারুণ কিছু সাফল্য রয়েছে। তবে ধারাবাহিকতা আরও প্রয়োজন।”