মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করেন আকাশ দীপ। সাদমান ইসলামের সামনের পায়ে বল লাগলেও তিনি লাফিয়ে ওঠেন। আকাশ দীপ আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি, তাই রিভিউ নেওয়ার ইঙ্গিত দেন। বোলারের দাবি মেনে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা রিভিউ নেন। প্রথমে মনে হয়েছিল, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাবে, তবে তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা গেল বল লেগ স্টাম্পে লাগত। আউটের সিদ্ধান্তের পর রোহিতের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো, যেন তিনিও অবাক। ভালো শুরু করেও ৩৬ বলে ২৪ রানে আউট হন সাদমান।
১৭তম ওভারে আকাশ দীপকে স্কয়ার কাটে চার মেরে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহকে ৫০ পার করেন মুমিনুল হক। তিনি ৬ রানে এবং অন্যপ্রান্তে নাজমুল হোসেন ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কানপুরে আবারও মেঘলা আবহাওয়া ফিরে আসে, ফলে আলোর স্বল্পতার কারণে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট জ্বালাতে হয়।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ৫১ রান করে।
জাকির হাসান ২৪ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। আকাশ দীপ রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে তৃতীয় স্লিপে যশস্বী জয়সোয়ালের হাতে ক্যাচ বানান। প্রথমে ক্যাচটি পরিষ্কার বোঝা না গেলেও, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, জয়সোয়াল বৈধভাবেই ক্যাচ নিয়েছেন।
জাকির টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার চতুর্থ খেলোয়াড়। এর আগে ২০০২ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মনজুরুল ইসলাম ৪১ বল, ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে রাজিন সালেহ ২৯ বল, এবং ২০০৮ সালে ডানেডিনে আফতাব আহমেদ ২৫ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। জাকিরের নাম এখন সেই তালিকায় ২৪ বলে শূন্য রানে আউট হওয়ার জন্য যুক্ত হয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের জিওফ অ্যালটের দখলে। তিনি ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন।
টসে হেরে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিংয়ে নামে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা মেঘলা আবহাওয়া এবং পিচের কন্ডিশনের কারণে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, ভারত তিন পেসার খেলাচ্ছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, “ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো মনে হচ্ছে।” বাংলাদেশের দলে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলছেন তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশ তিন স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে।
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।