সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
ইরানের হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করার পাশাপাশি সেসব তথ্য গোপন করার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইরানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।
সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, এই হামলায় বিমানঘাঁটির একটি হ্যাঙ্গার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
নেভাতিম বিমানঘাঁটি ইসরায়েলের অন্যতম আধুনিক বিমানঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-৩৫ লাইটনিং টু স্টেলথ ফাইটারগুলো অবস্থান করে। তবে, ইরানের দাবি অনুযায়ী হামলায় কোনো বিমান ধ্বংস হয়েছে কিনা, তা স্যাটেলাইট চিত্র থেকে স্পষ্ট নয়। তেহরান দাবি করেছে যে, তাদের হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে, এপ্রিলে ইরানের আরেকটি হামলায় নেভাতিমের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তবে সেবার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা পায়।
এইবারের হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের ছবি ও ভিডিও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, যেসব নাগরিক ইরানি হামলার স্থানের ছবি বা ভিডিও শেয়ার করছেন, তারা শত্রুকে সাহায্য করছেন। ইসরায়েলকে রক্ষার দায়িত্ব তার নাগরিকদের হাতে, এবং কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা হবে না।
এদিকে, হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে তারা উত্তর ইসরায়েলের বেইত হিলেল অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ন্ত একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারে সারফেস টু ইয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা হেলিকপ্টারটিকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তবে হেলিকপ্টারে হামলাটি ঠিক কবে হয়েছে, তা হিজবুল্লাহ স্পষ্ট করেনি, এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরুর পর, এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে হিজবুল্লাহর হামলা হয়েছে।