মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জোর পূর্বক শেয়ার লিখে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সারোয়ার চৌধুরী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তারা জানায়, সিলেট স্ট্রাইকার্সে মাশরাফীর এক শতাংশও মালিকা নেই। এবার তার সাথে কী ঘটেছিল তা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন সারোয়ার।
কীভাবে মাশরাফী তার কাছ থেকে জোর পূর্বক শেয়ার লিখে নেন সেটি জানান সারোয়ার। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ দলের আমার অন্যতম প্রিয় একজন প্লেয়ার ছিলেন। আর সেই প্রিয় প্লেয়ার যখন নিজেই আমাকে বিপিএলে দল নেওয়ার আহ্বান করলেন, তখন আমি সানন্দে, বিশ্বাসের সাথে তা গ্রহণ করলাম।
কিন্তু তখনও আমি জানতাম না যে এক পর্যায়ে যেয়ে, যাকে আমি এতটা পছন্দ করতাম সেই মাশরাফি বিন মর্তুজার রাজনৈতিক অফিসে, তার এবং যার মাধ্যমে এখানে আশা সেই হেলাল বিন ইউসুফে শুভ্রের উপস্থিতিতে অবরুদ্ধ করে এবং অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না—যাকে এতটা ভালোবাসতাম, সেই মানুষই এমনভাবে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে! এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ অভিজ্ঞতা।’
বিগত সরকারের এমপি ছিলেন মাশরাফী। দলটিতে জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়কের অবস্থান ছিল বেশ ভালোই। যার কারণে মালিকানা হারানোর পরও আইনি পদক্ষেপ নেননি বলে জানান সারোয়ার। সেই সাথে তার পরিবারের কথা চিন্তা করেও কোনো উদ্যোগ নেননি তিনি।
সারোয়ার লিখেছেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজা-কে নতুনভাবে দেখা। তিনি শুধু বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কই নন, তিনি তখন সরকার দলীয় এমপি, এবং সেই সরকার ছিল স্বৈরাচারী। এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই আমি আমার এবং আমার পরিবার-পরিজনের যারা অনেকেই বাংলাদেশেই বসবাস করেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু করতে পারিনি।’
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার বদল হয়েছে। যার কারণে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন সারোয়ার। সেই সাথে শ্রীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।