রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এই জয়ের মাধ্যমে চিটাগংয়ের প্লে-অফে যাওয়ার পথ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে না হারলেই তারা প্লে-অফ নিশ্চিত করবে।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে চিটাগং কিংস রংপুর রাইডার্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায়। শুরুতেই ওপেনার স্টিভেন টেইলরের উইকেট হারায় রংপুর। ৭ বল খেলে রান খোলার আগেই টেইলর ফিরে যান, দলের স্কোর তখন ৩।
তিনে নামা সাইফ হাসানও দীর্ঘ সময় টিকতে পারেননি, ৮ বলে ৮ রান করে আউট হন। তবে ওপেনার সৌম্য সরকার কিছুটা সাবলীল থাকলেও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১৭ বল খেলে ২৩ রান করার পর সৌম্যও আউট হন। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ছিল ৩৭ রান, হারানো ছিল ৩ উইকেট।
এ সময় ৪ নম্বরে নামা ইফতিখার আহমেদ দলের হাল ধরেন। অন্যদিকে, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২১ বল খেলে ৯ রান করে আউট হন। ইরফান শুক্কুরও সুবিধা করতে পারেননি, ২ বলে ১ রান করে ফিরে যান।
ইফতিখার তবে দৃঢ়ভাবে খেলতে থাকেন এবং শেষ দিকে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন। ৪৭ বলে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ২২ রান নিয়ে। রংপুর রাইডার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
চিটাগংয়ের হয়ে ২ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা চিটাগংয়ের দুই ওপেনার লাহিরু মিলিন্থা ও পারভেজ হোসেন ইমন একটু ধীরগতিতে করেন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৩ রান, লাহিরু ১২ বলে ৬ রান করেন। তৃতীয় উইকেটের জন্য গ্রাহাম ক্লার্ক ভালো শুরু পেলেও ১২ বলে ১৫ রানে ফিরে যান। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে চিটাগং কিংসের সংগ্রহ ছিল ২৯ রান, হারানো ছিল ২ উইকেট।
ইমন ক্রিজে টিকে থাকলেও কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন। ১৫ বলে ২০ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন আউট হন। এরপর হায়দার আলী ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করে আউট হন, দলের স্কোর তখন ১০৬ রান।
হায়দার আলী দলের চাহিদামাফিক রান তোলেন, একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২ বলে ৮ রান করে আউট হন। তবে হায়দার ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ১৮ বলে ৪৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন হায়দার।
চিটাগং কিংস ১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায়। এই জয়টি তাদের প্লে-অফের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। শেষ দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে না গেলে চিটাগংয়ের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।