সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
৪৩ বছর বয়সে আবারও দলের নেতৃত্বে ফিরবেন ধোনি এবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স আউট বিতর্ক নিয়ে ইমরুল কায়েসের বিস্ফোরক মন্তব্য মুহুতে ভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডে যে ১৪ নির্দেশনা দিল প্রকাশ্যে এলো নথি গাজায় হামলার জন্য ইসরাইলে রকেট ও বিস্ফোরক রপ্তানি করেছে ভারত ডুবন্ত টাইটানিক নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ, জানলে আপনিও অবাক হবেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, আবহাওয়া অফিসের বিশেষ সতর্কবার্তা বড় জয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ এর প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ তাসকিনকে বাদ দিয়ে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ

বোসিস্তো-অঙ্কনের পর বোলারদের নৈপুণ্যে বড় জয় পেলো খুলন

আহমেদ তুহিন / ৭৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিং করে খুলনা তোলে ২০৩ রানের পুঁজি। জবাবে, শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ৩৮ বলে ৭৮ রানের অসাধারণ ইনিংস সত্ত্বেও চিটাগং থেমে যায় ১৬৬ রানে।

টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় চিটাগং। খুলনা শুরুতেই ভালো খেলতে থাকে, এবং নাঈম শেখের ব্যাটে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি পায়। নাঈম ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন, তবে অপর ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্তো ঠিকঠাক এগোচ্ছিলেন। মাঝের তিন ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮ বলে ১৮ রান), ইবরাহিম জাদরান (৭ বলে ৬ রান) এবং আফিফ হোসেন (৭ বলে ৮ রান) বড় কিছু করতে পারেননি। ১১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে খুলনা।

এরপর ৬ নম্বরে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বোসিস্তোর সঙ্গে মিলে তিনি চিটাগংয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ২০৫ রান পেরিয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। বোসিস্তো ৫০ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন, আর অঙ্কন ২২ বলে ৫৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন। এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে মাত্র ৩৪ বলে আসে ৮৬ রান।

চিটাগংয়ের হয়ে খালেদ আহমেদ এবং আলিস আল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।

জবাবে চিটাগং কিংসের ওপেনিংয়ে নামেন নাঈম ইসলাম এবং পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ওভারে ওয়াইড ও নো বলের ফাঁদে পড়েন ওশান থমাস, তবে তাতেও নাঈমকে আউট করেন। ৯ বলে ১২ রান করে তিনি আউট হন। প্রথম ওভারে চিটাগং পায় ১৮ রান। এরপর ইমন ভালো শুরু পেলেও ৩১ রানের মাথায় ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। তিনে নেমে উসমান খান খেলেন ১৫ বলে ১৮ রান, এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৭ বলে ৬ রান করে আউট হন। পাওয়ারপ্লের মধ্যে চিটাগংয়ের শীর্ষ চার ব্যাটারের উইকেট পড়ে, এবং ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগং।

পাওয়ারপ্লে শেষে পরবর্তী দুই বলেই আরও দুই উইকেট হারায় চিটাগং। হায়দার আলী এবং টম ও’কনেল আউট হন। চিটাগংয়ের পরিস্থিতি তখন একেবারেই খারাপ হয়ে যায়, ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর।

শেষ পর্যন্ত, শামীম হোসেন পাটোয়ারী একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি চিটাগংয়ের হারের ব্যবধান কিছুটা কমাতে সক্ষম হন। বাউন্ডারি ঝড় তুলে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন, তবে ১৫২ রানের মাথায় আউট হন। শেষ দিকে খালেদ আহমেদ ৪ বলে ১৪ রান করে চিটাগংয়ের স্কোর ১৬৬ রানে নিয়ে যান। ১৮.৫ ওভারে চিটাগং থেমে যায় ১৬৬ রানে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *