মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কানপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন।
সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে এই সংস্করণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাঁর শেষ ম্যাচ। তবে ওয়ানডে খেলবেন। পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেবেন সাকিব।
সাকিব জানিয়েছেন, অবসরের বিষয়ে ইতিমধ্যেই তিনি সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। তবে নিরাপদে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এটাই ছিল তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই আসর দিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় জানাতে চান তিনি।
অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি, মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’
তবে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাকিব। তবে তার আগে, দেশের মাটিতে টেস্টে অবসর বলছেন তিনি।
কানপুর প্রেস কনফারেন্স সাকিব বলেন, বিসিবির কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়ছে। আমাকে এখন মুভ অন করার দরকার। এই কথা থেকে বোঝা যায় যে, এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডাররের অবসরের পিছনে বিসিবির কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে।
সাকিব আরও বলেন, বিবিসি থেকে চাইলে তিনি আবার ফিরবেন। এইখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় এই অলরাউন্ডাররের অবসরেরে পিছনে বড় হাত রয়েছে । এই হাত গুলা কাদের তা জানতে একটু সময়ের দরকার।
জাতীয় দলের হয়ে ৭০টি টেস্ট খেলেছেন সাকিব। দেশের হয়ে ৪,৬০০ রান করেছেন এবং ২৪২ উইকেট নিয়েছেন। খেলেছেন ১২৯ টি-টোয়েন্টি। এই ফরম্যাটে তিনি ২৫৫১ রান করেছেন এবং ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন।