মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আসন্ন মৌসুমে নতুনভাবে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম কিংস। ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের প্রথম দুই আসরেও ছিল তারা। তবে মাঝের সময়গুলোতে না থাকলেও আবার ফিরছেন আসন্ন বিপিএল দিয়েই। এবারের বিপিএলের জন্য এরই মধ্যে কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইটকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। একই সঙ্গে দেশি হিসেবে দলটির কোচিং প্যানেলে চমকের মতোই দেখা যাবে সাবেক স্পিনার ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়রকে।
বিপিএলের ড্রাফট সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ এগিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। দলটির চেয়ারম্যান সামির কাদের চৌধুরী কালবেলাকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে তারা দলভুক্ত করেছেন হায়দার আলী, উসমান খান ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। তবে দেশিদের মধ্যে কাকে নিচ্ছেন তারা? এমন প্রশ্নে সামির কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। খুব দ্রুতই এটাও নিশ্চিত করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আগামী ১৪ অক্টোবর হতে যাওয়া ড্রাফটের আগেই সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলবে তারা। সেক্ষেত্রে বড় কিছু নামও আরও যোগ করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একটা সময় বিপিএল ঘিরে দেশের ক্রিকেটও ছিল রোমাঞ্চিত। দলগুলোর থিম সং নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্ল্যাশমুভ থেকে শুরু করে কত কী দেখা যেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটাও যেন হারিয়ে গেছে। তবে আবারও বিপিএলে ফিরে সে স্মৃতি ফেরাতে চায় চট্টগ্রাম কিংস। দলটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এবারের লিগ নিয়ে তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। এরই মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামও সাজিয়েছেন তারা। খুব শিগগির সেসব কিছু নিয়ে হাজির হবেন তারা। টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম দলটিকে যতটা সম্ভব জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন বিপিএলে নতুন রূপে দেখা মিলবে পুরো কিংসকে।
২০১২ ও ২০১৩ বিপিএলে আর্থিক কিছু সমস্যা ছিল চট্টগ্রাম কিংসের। বিশেষ করে পেমেন্ট প্রায় সাড়ে ৩ কোটির মতো বাকি রেখেই বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেসব টাকা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। তবে বিষয়টি নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সামির কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, কিস্তি আকারে পূর্বের সব দেনা অর্থ বিসিবিকে বুঝিয়ে দেবেন তারা। দেশের বর্তমান প্রক্ষাপট ও আর্থিক সমস্যার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। অন্যথায় পুরো অর্থই একসঙ্গে পরিশোধ করে দিতেন তারা। অবশ্য বিতর্ক এড়াতেই যত দ্রুত সম্ভব পূর্বের সকল দেনা পরিশোধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।