বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে একটি বিশদ বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে, যা ডিজিটাল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে। থ্রিডি রেপ্লিকায় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে জাহাজটি দুটি টুকরো হয়ে ছিঁড়ে গিয়েছিল। ১৯১২ সালে, বরফের একটি বড় খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে জাহাজটি ডুবে যায়, যার ফলে প্রায় ১৫০০ জন আরোহী নিহত হয়।
নতুন স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে জাহাজের বয়লার রুমের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে মিলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রকৌশলীরা জাহাজের লাইট চালু রাখার চেষ্টা করছিলেন, যা তাদের শেষ চেষ্টা ছিল।
এই নতুন স্ক্যানিংটি করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন, এবং এটি নামকরণ করা হয়েছে “টাইটানিক: দ্য ডিজিটাল রিসারেকশন”। টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ আটলান্টিক মহাসাগরের বরফ আচ্ছাদিত পানির ৩,৮০০ মিটার নিচে পড়ে রয়েছে। সেখানে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ রোবট ব্যবহার করে জাহাজের ম্যাপিং করা হয়।
রোবটটি ৭ লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে, যা ‘ডিজিটাল টুইন’ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ২০২৩ সালে, বিবিসি নিউজ এককভাবে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
নতুন গবেষণায় জানা গেছে, বরফের আঘাতে একটি পোর্টহোল ভেঙে যায় এবং বরফের টুকরোগুলো কিছু কেবিনেও প্রবেশ করেছিল। বিশেষজ্ঞরা জাহাজের বিশাল বয়লার রুম নিয়ে গবেষণা করছেন, যা জাহাজের সামনের অংশের পিছনের দিকে অবস্থিত। এখান থেকেই জাহাজটি দুটি টুকরো হয়ে ভেঙে যায়।
যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পরও লাইটগুলি জ্বলছিল। ডিজিটাল রেপ্লিকাতেও দেখা যায় যে বয়লারগুলো ডুবে যাওয়ার পরেও কাজ করছিল। জাহাজে থাকা প্রকৌশলী জোসেফ বেলের নেতৃত্বে একদল প্রকৌশলী বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার জন্য কাজ করেছিলেন। যদিও তাদের মৃত্যু ঘটেছিল, তবে তাদের প্রচেষ্টার কারণে অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছিল।
গবেষক পার্কস স্টিপহেনসন বিবিসিকে বলেন, “জাহাজের কর্মীরা জীবিত যাত্রীদের নিরাপদে লাইফবোট নামানোর জন্য শেষ মুহূর্তে লাইট এবং পাওয়ার চালু রাখার চেষ্টা করেছিলেন, যাতে অন্ধকারে কিছুটা আলো থাকতে পারে।”