বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিকেটার খোঁজার প্রয়োজনীয়তা অনেক আগেই অনুভূত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ প্রায়ই ব্যর্থ হয়ে থাকে। সেই সময়ে জাতীয় দল যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিল, তখন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণ, যাতে নতুন ক্রিকেটারদের খোঁজা যায়।
এই টুর্নামেন্ট এক যুগ পর ফেরানো হয়েছিল মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সন্ধানে। এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগ অনেকটাই সফল মনে হচ্ছে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটাররা যেমন ভালো পারফর্ম করেছেন, তেমনি তরুণ ক্রিকেটারদেরও দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স ছিল।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন নাঈম শেখ। ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক ১০ ইনিংসে ৩ ফিফটি সহ মোট ৩১৬ রান করেছেন, যার মধ্যে ১১টি ছক্কা ছিল। তার স্ট্রাইকরেট ১৩৫.০৪।
এরপর তালিকায় রয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার জিসান আলম, যিনি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে বেশ আলো ছড়িয়েছেন। তিনি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই ৮ বলে ৭ ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং ১৫৮.৭৫ স্ট্রাইকরেটের সাথে ২৮১ রান করেন। ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় ২২টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি শীর্ষস্থানেও আছেন, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাবিবুর রহমান সোহান হাঁকিয়েছেন ১৭টি ছক্কা। সোহান ১৬০.৮৬ স্ট্রাইকরেটে ২৫৯ রান করেছেন।
তালিকায় আরও এক নাম উঠে এসেছে – নুরুল হাসান সোহান। ১২৬.০৬ স্ট্রাইকরেটে ২৬৬ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। রানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন আজিজুল হাকিম তামিম, যিনি খুলনার হয়ে ১৩৬.৯৯ স্ট্রাইকরেটে ২৩৭ রান করেছেন। তামিম এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
আবার একবার নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন আকবর আলী, যিনি ২০২০ সালে বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপ জেতানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এবারের এনসিএলে ১৪ ছক্কায় ১৪৯.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ২০৮ রান করেছেন এবং রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে নেতৃত্বের গুণাবলীও দেখিয়েছেন।
বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন আলাউদ্দিন বাবু। ৩৩ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাইনালে ৩ উইকেট নিয়ে মোট ১৯ উইকেট শিকার করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ২০ বছর বয়সী পেসার আহমেদ শরীফ, যিনি খুব ভালো পারফর্ম করেছেন।
শীর্ষ পাঁচের বাকি তিনটি নাম যথাক্রমে রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম এবং আবু হায়দার রনি। যুব বিশ্বকাপ জেতা রাকিবুল ঘরোয়া ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে ভালো খেলছেন। জাতীয় দলের স্কোয়াডেও ডাক পেয়েছেন একাধিকবার। আলিস এবং রনি বিপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ।
এছাড়া তামিম ইকবালের ফেরা নিয়েও আলোচনা হয়েছে অনেক। ১৫০ স্ট্রাইকরেটে চার ম্যাচে ১৯০ রান করেছেন তামিম। যার মধ্যে ৬৫ এবং ৯১ রানের দুটি ইনিংসও খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।