বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) সন্দেহজনক খেলার অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার গতকালের ম্যাচ। ম্যাচের এক পর্যায়ে মাত্র ৬ রানের প্রয়োজন থাকলেও, শাইনপুকুরের একজন ব্যাটারের আউটের ধরণ ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, শাইনপুকুরের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির উইকেটরক্ষকের স্টাম্প ভাঙার মুহূর্তে ব্যাট লাইনে ঢুকিয়ে তা আবার বের করে নেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে এই আউট নিয়ে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
ইমরুল কায়েসের দাবি, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা—একটি দলকে সুপার সিক্সে উঠতে বাধা দিতেই গুলশান ও শাইনপুকুর ক্লাব এই নাটক সাজিয়েছে।
নিজের ফেসবুক পোস্টে ইমরুল লেখেন,
“আজ আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। মিডিয়া, ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার—সবাই আজকের এই ঘটনায় স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। কারণটা পরিষ্কার—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ যা ঘটেছে, তা শুধু লজ্জাজনকই নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল কলঙ্ক।”
তিনি আরও বলেন,
“একটি দলকে সুপার লিগে উঠতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে অন্য একটি মাঠে দুটি দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে! এটি কোনো ক্রিকেটীয় লড়াই নয়, এটি একটি পরিকল্পিত নাটক। সেই বিতর্কিত ম্যাচের ভিডিও প্রমাণ নিচে রয়েছে—আপনারা নিজেরাই দেখুন, বিচার করুন।”
ইমরুলের ভাষায়, যদি ঘরোয়া ক্রিকেটের এই অবস্থা হয়, তাহলে জাতীয় দলে ভবিষ্যতে কে খেলবে? কার হাতে তুলে দেব দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে রাখে, তারা কীভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে?
“এ ধরনের ঘৃণ্য নাটকে যাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে,”—এমন মন্তব্য করে ইমরুল আরও বলেন,
“আমরা যারা দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অথচ কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করছে। বিসিবি যতোই উন্নতির চেষ্টা করুক, এ ধরনের ঘটনা সেই চেষ্টাকে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে।”
শেষে এমন ঘটনার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরুল লেখেন,
“আমি জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি—এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে এখনই কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, অন্তত আজকের ম্যাচটি বাতিল করে পুনরায় আয়োজন করা উচিত। আজ যদি চুপ থাকি, কাল হয়তো আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না।”