রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
এক দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, অন্য দল হেলায় হারিয়েছিল সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ; এমনকি সুপার এইটে জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। তবে ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক দিক থেকে বাংলাদেশ
যোজন যোজন এগিয়ে। আর তা হলো অভিজ্ঞতা। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের খেলা ম্যাচের সংখ্যার সমষ্টি যেখানে ৬৪৪, সেখানে ভারতের মাত্র ৩৮৯।
অভিজ্ঞতার হিসেবে বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কারণে। ৩৮ বছর বয়সে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বয়সী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার রিয়াদ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৩৮টি
টি-টোয়েন্টি। অন্যদিকে ভারতের হয়ে এখন আর খেলছেন না রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা। বিশ্বকাপ জিতে অবসর নেওয়া এই ৩ ক্রিকেটারের মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল ৩৫৮ ম্যাচের।
বাংলাদেশ অবশ্য এই সিরিজ থেকে পাচ্ছে না সদ্য সাবেক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তবে অভিজ্ঞতা বিচারে বাকিরাও কম যান না।
তাওহীদ হৃদয় যেমন ইতোমধ্যে ২৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজ নামবেন বাংলাদেশের হয়ে নিজের ৪৬তম টি-টোয়েন্টিতে। লিটন দাস খেলে
ফেলেছেন ৮৯ ম্যাচ। শেখ মেহেদী হাসানের হয়েছে ফিফটি, দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেছেন ২৫ ম্যাচ। মুস্তাফিজুর রহমান তো ম্যাচ খেলেছেন ১০৩টি। এমনকি যুব বিশ্বকাপজয়ী
শরিফুল ইসলামও ৩১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। আরেক তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ খেলেছেন ৬৭ ম্যাচ।
ভারতের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে একশ বা তার বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি আছে শুধু হার্দিক পান্ডিয়ার। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই নতুন। কেউ দলে এসেছেন বছরখানেকের মতো,
কেউ মাত্র এলেন। তাও যারা নিকট অতীতে দলে এসেছেন, তারা দলে নিয়মিত নন। তবে সিনিয়র ক্রিকেটাররা সরে দাঁড়ানোয় শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বলতে গেলে একপ্রকার দলে থিতু হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
এবার দেখার বিষয়, শেষপর্যন্ত মাঠে জয়জয়কার হয় কাদের। টি-টোয়েন্টির মতো তারুণ্যনির্ভর ফরম্যাটে তারুন্যে আস্থা রাখা ভারতের, যারা কিনা বিশ্বকাপের জয়ের পরপরই অনেকটা বের হয়ে এসেছে
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে; নাকি অভিজ্ঞতাকে পুঁজি মানা বাংলাদেশের, যারা ম্যাচ টেম্পারমেন্ট, গেম সেন্স আর প্রেশার সিচুয়েশন সামলানোর ক্ষেত্রে ভারতের বর্তমান দলটার চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে।