শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে বিশ্বজুড়ে অসীম জনপ্রিয়তা এনে দেয় এবং তিনি বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। ২৪’এর অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার অনুরোধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিধ্বস্ত রাষ্ট্রের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন তিনি। ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, তিনি এক বিশাল চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে শপথ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর, ড. ইউনূস একের পর এক চমক দেখাতে থাকেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিশৃঙ্খলার মধ্যে যেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে তিনি সরকারের নেতৃত্বে পরিস্থিতি শান্ত করে ফেলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন, এবং দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একের পর এক সফলতা অর্জন করেন।
ভারত এবং আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র ও কূটচাল মোকাবিলা করে, কূটনীতিতে ড. ইউনূস অবিস্মরণীয় সাফল্য দেখিয়েছেন। তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে, আর এর প্রমাণ মিলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লাখো মানুষ তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, এবং কেউ কেউ দাবী করছেন, এই সরকারকে আরও অন্তত পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখা প্রয়োজন।
ড. ইউনূসের কূটনৈতিক দক্ষতার কারণেই বাংলাদেশ এখন বিশ্ব রাজনীতিতে আরো সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসের সাথে ৪০ মিনিট দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, ড. ইউনূস কৌশলী কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে মোদিকে বৈঠকে বসতে বাধ্য করেন। দিল্লি-পাকিস্তান সম্পর্কের জটিলতা এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের মধ্যে ড. ইউনূস একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল হন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূস এবং মোদির বৈঠক বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। ভারত বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং আওয়ামী লীগকে সেবা করে আসলেও, এখন মোদি সরকার ড. ইউনূসের কূটনৈতিক চাপে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ছে।
বাংলাদেশের জনগণ এখন ড. ইউনূসকে তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। তাঁর নেতৃত্বে দেশটি আরো শক্তিশালী হবে, এবং স্বাধীনতার পথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।