সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, এবং এর মধ্যে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা প্রচারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে, যার প্রভাব সাধারণ জনগণ এবং তারকাদের মধ্যেও পড়েছে। অনেকেই বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
সম্প্রতি, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মিঠুন বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের আবেগ এবং অনুভূতি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অনেকেরই এটি মনে আছে। তবে, বাংলাদেশ এরকম হয়ে যাবে, তা আমরা কখনো ভাবিনি। আবেগের জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি।”
এরপর, তিনি পরোক্ষভাবে বাংলাদেশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যা সব সতর্কবার্তা শুনছি, টিভিতে দেখছি, তাদের নেতারা যা বলছে। আমি একটাই কথা বলবো—ভারতকে খাটো করে দেখবেন না। ডোন’t আন্ডার এস্টিমেট ইন্ডিয়া।”
তবে, মিঠুন পশ্চিমবঙ্গে মমতা ও কংগ্রেসকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে শিক্ষা নিতে বলেছেন। তার মতে, “বাংলাদেশকে দেখে আমাদের শিখতে হবে, বিশেষ করে বাংলাকে শিখতে হবে। যদি আমরা একত্রিত হয়ে না লড়ি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে, নিশ্চিত।”
এছাড়া, কলকাতায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ার পর, মিঠুন বাংলাদেশকে দেখে মমতার প্রশাসনকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। তার মতে, পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য স্থানীয় প্রশাসন দায়ী। তিনি সরাসরি মমতার নাম না নিলেও বলেন, “সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এখানে অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের খারাপ লাগে যে, পশ্চিমবঙ্গ ইতোমধ্যেই নিচের দিকে নামছে। এগুলোর জন্য প্রশাসন দায়ী। তবে, ভালো খবর হলো যে, জঙ্গিরা ধরা পড়েছে।”